থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা: সমাধানে আলোচনা, কিন্তু স্থায়ী সমাধান অনিশ্চিত

সীমান্তে সেনা মোতায়েন, পুরাকীর্তির কাছে থাই ও কাম্বোডিয়ান বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান
পুরনো সীমান্ত বিরোধ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা, শান্তিপূর্ণ সমাধানে চলছে আলোচনা।

ব্যাংকক/ফনম পেন, ১৪ জুন: থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যকার পুরনো সীমান্ত বিরোধ নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ৮২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের বেশ কিছু অংশ এখনো স্পষ্টভাবে নির্ধারিত নয়, যেখানে রয়েছে বহু ঐতিহাসিক মন্দির। গত ২৮ মে সংঘটিত ছোটখাটো সংঘর্ষে একজন কাম্বোডিয়ান সেনা নিহত হলে উত্তেজনা বাড়ে এবং উভয় দেশ সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে।

থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, “আমরা এই আলোচনাকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাই।”

তবে থাইল্যান্ডের সরকার বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দায় জনসমর্থন হারাচ্ছে এবং সামরিক বাহিনীর কড়া ভাষায় করা বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এমনকি সীমান্ত বন্ধ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে ব্যাংকক।

প্রতিক্রিয়ায় ফনম পেন ঘোষণা দেয় তারা আর থাইল্যান্ড থেকে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বা কৃষিপণ্য কিনবে না। স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোকে থাই সিনেমা প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

📌 আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে কাম্বোডিয়া

এই সপ্তাহের জয়েন্ট বাউন্ডারি কমিশনের (JBC) বৈঠকে তাত্ক্ষণিক কোনো সমাধান আসার সম্ভাবনা নেই। কাম্বোডিয়া জানিয়েছে, চারটি বিরোধপূর্ণ এলাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আন্তর্জাতিক আদালতে (ICJ) মামলা দায়ের করবে।

থাইল্যান্ড সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ওপর জোর দিচ্ছে। থামাসাট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দুলিয়াপাক প্রিচারুশ বলেন, “আলোচনার বেশি কিছু বাকি নেই, এখন শুধু ভবিষ্যতের জন্য পরিবেশ বজায় রাখাই মূল লক্ষ্য।”

হুন সেন, কাম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী ও হুন মানেটের পিতা, বলেন, “থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, উগ্রবাদী কিছু গোষ্ঠী পরিস্থিতি উসকে দিচ্ছে।”

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url