“সুশান্তের মধ্যে আমি নিজের জোশ দেখেছিলাম”—শত্রুঘ্ন সিনহার আবেগঘন স্মৃতিচারণ
![]() |
সুশান্তের মৃত্যুকে জাতীয় শোক বলে অভিহিত করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। |
মুম্বাই, ১৪ জুন: আজ সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পাঁচ বছর পূর্ণ হলো। এই উপলক্ষে বর্ষীয়ান অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা একটি আবেগঘন সাক্ষাৎকারে সুশান্তকে স্মরণ করেছেন। “সুশান্তের মধ্যে আমি আমার মতো জোশ দেখেছিলাম,”—বললেন শত্রুজি।
তিনি বলেন, “এমন কিছু ক্ষতি আছে যেগুলো সময় পার করেও ভুলে যাওয়া যায় না। সুশান্তের মৃত্যু ঠিক তেমনই। এটা কেবল আঞ্চলিক বা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি নয়—এটা ছিল একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি।”
🎭 “কোনো গডফাদার ছাড়াই বলিউডে জায়গা খুঁজছিল”
সিনহা বলেন, “যখন আমি মুম্বাইতে এসেছিলাম, তখন আমার পকেটে মাত্র কয়েকশো টাকা ছিল। কেউ চিনত না, কোনো গডফাদার ছিল না। শুধু ছিল অফুরন্ত জোশ। সেই একই জোশ আমি সুশান্তের মধ্যেও দেখেছি।”
❓ মৃত্যুর রহস্য কী?
সুশান্তের মৃত্যু আজও এক ধোঁয়াশার মধ্যে রয়ে গেছে। শত্রুঘ্ন সিনহার মতে, “যাকে মানুষ গভীরভাবে ভালোবাসে, তার মৃত্যুকে রহস্যে মোড়ানোটা একটা আবেগিক প্রক্রিয়া। যেমনটা হয়েছিল গুরু দত্ত, মীনা কুমারী বা শ্রীদেবীর ক্ষেত্রেও।”
🧭 নতুনদের জন্য পরামর্শ
যেসব তরুণ অভিনেতা তারকাখ্যাতির স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাই আসে, তাদের উদ্দেশ্যে শত্রুঘ্ন সিনহার পরামর্শ—“কখনো আপস করো না, কখনো হাল ছেড়ো না। কিন্তু নিজেকে সময় দাও—৪-৫ বছরের মধ্যে যদি কিছু না হয়, তাহলে বাড়ি ফিরে গিয়ে নতুনভাবে ভাবো।”
🎞️ বায়োপিক কি দরকার?
শত্রুঘ্ন সিনহার সোজাসাপটা উত্তর—“না, সুশান্তকে নিয়ে বায়োপিকের দরকার নেই। তাঁর কাজ নিজেই যথেষ্ট।”