ঘুমাতে প্রায় দুইটা বেজে যায়? কী করবেন– পরামর্শ দিলেন ডা. নূপুর

A teenager in pajamas sitting on a bed in a softly lit room, putting away phone to prepare for an early bedtime.
ডা. নূপুরের পরামর্শ অনুযায়ী—যুবকের রাত ১০টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ঢাকা, ১১ জুন ২০২৫: কলাবাগানের ল্যাবএইড আইকনিকের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফারজানা পারভীন নূপুর বলেন, “ঘুমাতে প্রায় দু’টা বেজে যাওয়ার প্রবণতা তরুণদের মধ্যে বেশ সাধারণ। কিন্তু এই হরাইজন পরিবর্তন না হলে তা শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”

একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, “রাত বুঝে ঘুমানো মানেই সেটা একটার পর একটা বেজে যায় – এক, দেড়, প্রায় দুইটা… তার ফল, সকালে ওঠতেই মুখ থাবড়ে খায় ক্লাসে সময় মতো যেতে।”

ডা. নূপুর জানালেন:

  • “রাত দেড়টা–দু’টায় ঘুমানো বদভ্যাস প্রতিবেশী। নিয়মিত রাত ১০টার মধ্যেই শুয়ে পড়লে ঘুম আসে।

  • দিনের পরিমাণমতো শারীরিক ব্যায়াম—হাঁটা, হালকা দৌড়, যোগ ইত্যাদি—রাতের ঘুম জোরদার করে, ‘ঘুমাতে গিয়ে দেরি’ কমে।

  • রাতের খাবার শেষ করে অন্তত দুই ঘণ্টা পর ঘুমোতে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

  • ডিভাইসের ব্যবহার বন্ধ করুন: শুতে যাওয়ার আগে কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ব্যবহার এড়াতে হবে।

  • শুয়ে পড়ে চোখ বন্ধ করে শান্তভাবে বসে থাকুন—ঘুম না হলেও ফোকাস কমে যাবে, এবং স্বাভাবিক নিয়মে ঘুম ঢুকে যাবে।”

তিনি আরও সতর্ক করে দিয়েছেন যে, কোনও খাওয়ার ট্যাবলেট বা ঘুমের ওষুধ কখনোই বিনা ডাক্তারের পরামর্শে শুরু করবেন না—এতে শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

নিয়মিত ঘুমের সময় ঠিক রাখা—রাত দেড়টা নয়, বরং রাত ১০টায় ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শুধু পরীক্ষার ফল নয়, সার্বিক স্বাস্থ্যে উজ্জ্বল পরিবর্তন আসবে। ডা. ফারজানা পারভীন নূপুর-এর প্রস্তাব করে যে ডিভাইস ব্যবহার কমিয়ে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঘুমের ওষুধ নেয়া থেকে বিরত থেকে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে, কিশোরদের মধ্যে ‘ঘুমেতে দেরি’ প্রবণতা একদমই কমিয়ে আনা সম্ভব।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url