কারবালা থেকে গাজা: ইতিহাসের বুকে একটাই নৃশংসতার প্রতিচ্ছবি

কারবালা ও গাজার প্রতীকী ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র, যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শহর ও পুরনো তাবু
প্রাচীন ইতিহাস ও আধুনিক সময়ের নৃশংসতার প্রতীকী সংমিশ্রণ।

ইতিহাসের এক অমোচনীয় দাগ হয়ে আছে কারবালার হৃদয়বিদারক ট্র্যাজেডি। ৬১ হিজরির সেই রক্তাক্ত ঘটনার সঙ্গে যেন আজকের গাজার নিপীড়ন মিলিয়ে গেছে এক অদৃশ্য সূত্রে। সময়, স্থান আর প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও—মানবতার উপর নির্যাতন, শিশুহত্যা, নারীর আর্তনাদ আর নিষ্ঠুর আগ্রাসন একই থেকে গেছে।

কারবালায় নবী পরিবারের সদস্যদের উপর হওয়া বর্বরোচিত হামলা কেবল ইসলামের ইতিহাসে নয়, বিশ্ব ইতিহাসেও এক নিষ্ঠুর অধ্যায়। সেই একই রকম চিত্র আজ ফুটে উঠছে গাজায়—যেখানে শিশু, নারী, বৃদ্ধ কেউই নিরাপদ নয়। বিমান হামলা, ধ্বংসস্তূপ আর রক্তাক্ত মানবদেহ যেন কারবালারই প্রতিধ্বনি।

গাজার জনগণের বর্তমান অবস্থা দেখলে মনে পড়ে যায় হোসাইন (রা.)-এর অনড় অবস্থান, ন্যায়ের জন্য আত্মত্যাগ এবং এক বিশাল মেসেজ—“অত্যাচারীর সামনে মাথা নত করা যায় না”।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যেকোনো যুগে যদি কারবালার বার্তা মানবতার শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করা হতো, তবে গাজার মতো নারকীয়তা পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজও সেই নিষ্ঠুরতা থামেনি—শুধু অভিনয়পট বদলেছে, কিন্তু হানাদারদের চরিত্র একই রয়ে গেছে।

আজকের দিনে কারবালা কেবল শোক নয়, প্রতিবাদের প্রতীক। আর গাজার অবস্থা আমাদেরকে সেই পুরনো প্রশ্নে দাঁড় করায়—“মানবতার পক্ষে আমরা কতটা সাহসী?”

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url