ইসলামী ব্যাংকিং খাতে ৮৫ হাজার কোটি টাকার গোপন খেলাপি ঋণ ফাঁস

বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ও একীভূতকরণ প্রক্রিয়া চিত্রায়ন
৮৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত খেলাপি ঋণ ফাঁস, ব্যাংক খাতে বড় ধাক্কা।

বাংলাদেশের পাঁচটি বড় ইসলামী ব্যাংকে ৮৫ হাজার কোটি টাকার গোপন খেলাপি ঋণ উদঘাটন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম। এর ফলেই সামনে এসেছে ইসলামী ব্যাংকিং খাতের গভীর সমস্যা।

একিউআর (অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ) অনুযায়ী, এ পর্যন্ত পাঁচটি ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ৭৭%। এই বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণের কারণে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৭৪ হাজার ৫০১ কোটি টাকা

🔍 কারা এই খেলাপির সাথে জড়িত?

অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, আগে নিয়মিত ঋণ হিসেবে দেখানো হলেও বর্তমানে প্রকৃত খেলাপি হিসেবেই চিহ্নিত হচ্ছে এইসব ঋণ। এর মধ্যে রয়েছে:

  • এক্সিম ব্যাংক

  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী

  • গ্লোবাল ইসলামী

  • সোশ্যাল ইসলামী

  • ইউনিয়ন ব্যাংক

🏦 বাংলাদেশ ব্যাংকের একীভূতকরণ পরিকল্পনা

এই পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করে একটি নতুন শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংক গঠনের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই লক্ষ্যে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে একীভূতকরণের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হবে।

🧾 বিশেষ ধার ও সরকারি সহায়তা

ব্যাংকগুলো যাতে আমানত ফেরত দিতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিশেষ ধার ও গ্যারান্টি সুবিধা পেয়েছে। যেমন:

  • এক্সিম ব্যাংক: সাড়ে ৮ হাজার কোটি

  • ফার্স্ট সিকিউরিটি: ৭ হাজার ৫০ কোটি

  • এসআইবিএল: ৬ হাজার ৬৭৫ কোটি

  • গ্লোবাল ইসলামী: ২ হাজার ২৯৫ কোটি

  • ইউনিয়ন ব্যাংক: ২ হাজার ৪০০ কোটি

🔚 বিশেষজ্ঞদের মতামত

ড. আহসান এইচ মনসুরের মত, "সরকারি সহায়তা ও সুশাসন ছাড়া এই ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।"

🔗 তথ্যসূত্র

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url