মার্কিন আইনপ্রণেতাদের হুঁশিয়ারি: ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটক সরাতে প্রস্তুত হতে বলল অ্যাপল ও গুগল

টিকটক লোগো, অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে স্টোরের প্রতীক এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার সংকেত।
টিকটক সরিয়ে ফেলার বিষয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের কঠোর নির্দেশ।

ওয়াশিংটন, ১৩ ডিসেম্বর (গ্লোবাল টাইমস বাংলা):
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের চীন সম্পর্কিত কমিটির চেয়ারম্যান এবং শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য অ্যাপল এবং গুগল-প্যারেন্ট অ্যালফাবেটের সিইওদের জানিয়েছেন, ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটক তাদের মার্কিন অ্যাপ স্টোর থেকে সরাতে প্রস্তুত হতে হবে।

গত সপ্তাহে, একটি মার্কিন ফেডারেল আপিল আদালত একটি আইন বহাল রেখেছে, যেখানে চীনা ভিত্তিক বাইটড্যান্সকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বিক্রি করার বা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয়। কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান জন মুলেনার এবং শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রাজা কৃষ্ণমূর্তি টিকটকের সিইও শো জি চিউকে দ্রুত টিকটক বিক্রির জন্য পৃথক চিঠি দিয়েছেন।

তাদের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য এবং টিকটকের মার্কিন ব্যবহারকারীদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য কংগ্রেস দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা টিকটককে দ্রুত যোগ্য বিক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানাই।"

বাইটড্যান্স এবং টিকটকের আইনি লড়াই:
সোমবার, বাইটড্যান্স এবং টিকটক জরুরি ভিত্তিতে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আইনের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। তবে বিচার বিভাগ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে অ্যাপল বা গুগল ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটক অ্যাপ সরাসরি নিষিদ্ধ হবে না। তবে অ্যাপটির জন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট বন্ধ হয়ে গেলে এটি কার্যত ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠবে।

টিকটক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যদি আদালত কোনও রায় না দেয়, তবে ১৯ জানুয়ারির পর থেকে টিকটক মার্কিন অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে এবং নতুন ব্যবহারকারীরা এটি আর ডাউনলোড করতে পারবে না।

সিনেটরদের প্রতিক্রিয়া:
রিপাবলিকান সিনেটর জশ হাওলি বলেছেন, আইন অনুযায়ী বাইটড্যান্স যদি টিকটক বিক্রি না করে তবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তিনি বলেন, "মূল সমস্যা হলো এটি বেইজিংয়ের পর্যবেক্ষণের অধীনে এবং এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর ঝুঁকি।"

মার্কিন প্রশাসন এবং আইন প্রণেতাদের এই কঠোর পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাত এবং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url